মোঃ সেলিম রেজা, কেশবপুর প্রতিনিধি: মানুষের ইচ্ছা শক্তি বড় কথা। কেশবপুর উপজেলার শেষ প্রান্তে ইমান নগর গ্ৰামে গড়ে উঠেছে আইসক্রিমের কাঠি তৈরির বেশ কয়েকটি কারখানা।
আমরা দোকান থেকে যে সকল নামিদামি আইসক্রিম ক্রয় করে থাকি তার অধিকাংশ আইসক্রিমের কাঠি এই ইমান নগর থেকে সারা বাংলাদেশের আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে ব্যাবহার হয়ে থাকে।
সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় প্রত্যন্ত গ্ৰামের মধ্যে অসংখ্য মহিলারা আইসক্রিমের কাঠি তৈরি এবং শুকাতে ব্যস্ত ।এই কাঠি তৈরি কাজ তদারকি করেন মোঃ আলমগীর হোসেন উনার সাথে কথা বলে জানা যায় গুটলে গাছ থেকে এই কাঠি তৈরি হয়। এই গুটলে গাছ গুলো আনা হয় সিরাজগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, কোটচাঁদপুর, চৌগাছা থেকে। প্রতি সেফটি ২৪০ টাকা করে ক্রয় করা হয়। এরপর আইসক্রিমের কাঠি তৈরি করা হয়। প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ জন শ্রমিক এখানে কাজ করে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কাঠি উৎপাদন ভাল হয়। কাঠি গুলো রোদে শুকিয়ে ১০০০ পিচ করে বান্ডেল করে সেখান থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে ১০০টাকা,৮০টাকা,৬০ টাকা বান্ডেল বিক্রি জন্য প্রস্তুত হয়। কাপ আইসক্রিমের চামচ 🥄 কাঠির বান্ডেলের দাম বেশি।
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ বস্তা আইসক্রিমের কাঠি উৎপাদন করে বিক্রি করা হয়। শীত মৌসুমে বিক্রি একটু কম। এই ফ্যাক্টরির মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
আগে একটা কোম্পানিতে চাকরি করতেন আর বর্তমানে তিনি মানুষ কে তার ফেক্টরিতে চাকুরী দেন। তাই তো, কোন কাজের জন্য ইচ্ছা শক্তি বড় কথা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।